বুধবার, ৮ মে ২০২৪

তুরস্কে এক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিখোঁজ

তুরস্কে নিখোঁজ শিক্ষার্থী রিংকু। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড
৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:১৫
কূটনৈতিক প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
কূটনৈতিক প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ২৩:১১

তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ খাহরামানমারাসের ভূমিকম্পে এক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিখোঁজ রয়েছেন। বগুড়ার গোলাম সাইদ রিংকু নামের ওই শিক্ষার্থী খাহরামানমারাস ইউনিভার্সিটির ভূগোল বিভাগের শিক্ষার্থী।

তুরস্কের বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ওমর ফারুক হেলালী এ কথা জানিয়েছেন।

এর আগে দুইজন বাংলাদেশির নিখোঁজ হওয়ার খবর গণমাধ্যমে আসে। পরে নিখোঁজ আরেক শিক্ষার্থী নূরে আলমকে একটি আশ্রয় কেন্দ্রে পাওয়া যায় বলে জানান ওমর ফারুক।

নূরে আলম ও রিংকু যে ভবনে থাকতেন সেটি বিধ্বস্ত হয়েছে।

তুরস্কের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলটি সিরিয়া সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে ছিল। তাই ভয়াবহ হতাহতের শিকার যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশটিও। স্মরণকালের ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে সর্বশেষ খবর অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা ২৩০০ ছাড়িয়ে গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ (ইউএসজিএস) জানায়, স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের মধ্য-দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ গাজিয়ানতেপের শহর নুরদায়ির ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। এর কেন্দ্রস্থল ছিল সমতলের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে।

নুরদায়ি শহরটি তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থিত। এই দুটি দেশ ছাড়াও লেবানন ও সাইপ্রাসে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ৮০০ কিলোমিটার দূরের গাজা উপত্যকায়ও অনুভূত হয়েছে কম্পন।

তুরস্কে সোমবারের এই ভূমিকম্পকে ১৯৩৯ সালের পর সবচেয়ে শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। সেবার একই মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ৩০ হাজার লোকের মৃত্যু হয়। বিগত ২৫ বছরে সাতবার তুরস্কে ৭ বা তার বেশি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তবে এবারের ভূমিকম্প সবচেয়ে শক্তিশালী বলছেন ভূতত্ত্ববিদরা।

কম্পনের তীব্রতা এবারে এতই বেশি ছিল যে মূল ভূমিকম্পের পর অন্তত ৬৬টি পরাঘাত অনুভূত হয়।

বিষয়:

ঘরে বসেই হয়রানি ছাড়া হজের সব কাজ করা যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

‘আশকোনায় হজ কার্যক্রম-২০২৪’ এবং হজযাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ ডিজিটাল হওয়ায় হয়রানি ছাড়াই ঘরে বসে হজের সব কাজ করা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বুধবার ঢাকার আশকোনায় হজ কার্যক্রম-২০২৪ এবং হজযাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আজকে স্বাধীন দেশ। আমাদের মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার আজীবন সংগ্রামের মধ্য দিয়েই কিন্তু আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। আর এই স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন বলেই আজকে আমরা স্বাধীনভাবে দেশের মানুষ হজ করার সুযোগটা পাচ্ছে।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘বাঙালি জাতি এক সময় দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত ছিল। এক সময় চিন্তাই করতে পারত না বা সেই সঙ্গতিও অর্জন করতে পারেনি। স্বাধীনতার অর্জনের ফলেই আজকে সেটা সম্ভব হয়েছে।’

হজযাত্রীদের অভিজ্ঞতার রেশ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার একজন বোন হজ করতে যাচ্ছেন। তিনি বললেন—এখন কত সহজভাবে ঘরে বসে হজের সব কাজ সম্পন্ন করতে পারছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলব ২০০৮ এর নির্বাচনী ইশতেহারে সেই ঘোষণাটা দিয়েছিলাম। আজকে তার সত্যিকার বাস্তবায়ন হয়েছে। আর বাস্তবায়ন হয়েছে বলেই আজকে এই সুযোগটা সকলে পেয়েছেন। প্রথমবার যখন সরকারে এসেছিলাম, তখন মোবাইল ফোন যাতে সকলের হাতে পৌঁছায় সে ব্যবস্থাটাও করে দিয়েছিলাম।’

মোবাইল ফোন আর ইন্টারনেট প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ করবার জন্য স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণ করা, ব্রডব্যান্ড সমস্ত জায়গায় পৌঁছে দেওয়া, ওয়াই-ফাই কানেকশন দেওয়া, এসব করার ফলে কিন্তু আজকে এই সহজ পদ্ধতিতে আপনারা হজ করতে যেতে পারেন এবং কাজগুলো ঘরে বসে করতে পারেন কোনো রকম হয়রানি হতে হয় না। তা ছাড়া সরাসরি যাতে রেজিস্ট্রেশন করা যায়, সেই ব্যবস্থাটাও আমরা করে দিয়েছি এবং যারা নিজেরা কম্পিউটার ব্যবহার করবেন না প্রত্যেকটা এলাকায় আমরা তো ডিজিটাল সেন্টার তৈরি করে দিয়েছি। এই ডিজিটাল সেন্টারে বসে কিন্তু রেজিস্ট্রেশন করা যেতে পারে। করতে পারেন। সে ব্যবস্থাটাও আমরা করে দিয়েছি।’

সৌদি বাদশা ও প্রাইম মিনিস্টার এবং হজ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা বাংলাদেশের হজের ব্যাপারে অনেক উদার এবং অনেক সহযোগিতা আমাদের করে যাচ্ছেন, সে জন্য আমি তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি ১৯৮৪ সালে প্রথম যখন ওমরাহ করতে যাই এবং এর পরে ১৯৮৫ সালে প্রথম যখন হজ করি তখন হজের যে অব্যবস্থাপনা এবং এরপর যতবার আমি এসেছি, সৌদি বাদশার অতিথি হিসেবেই আমি এসেছি সেই ৮৫ সাল থেকে। সব সময় হজ ক্যাম্পগুলো ঘুরে বেড়াতাম। কোথাও কী সমস্যা আছে; আমি ফিরে এসে চিঠি দিতাম। এখানে আমাদের যিনি অ্যাম্বাসেডর আছেন, তার সঙ্গে কথা বলতাম। যদিও তখন আমি এমপিও না, মন্ত্রীও না কিছুই না—একজন নাগরিক হিসেবে। আমার কথায় তারা গুরুত্ব দিয়েছেন এবং আস্তে আস্তে আমরা এই হজ ব্যবস্থাপনাকে আরও উন্নত করতে পেরেছি। সেটা করতে পেরেছি বলেই আজকে সকলে আপনারা ভালোভাবে হজ করতে পারছেন বা হজ করতে যেতে পারছেন এবং আরও সহজ হচ্ছে।’

আশকোনা হজ ক্যাম্পের উন্নয়ন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখান থেকে আমরা একটা আন্ডারপাস করে দিচ্ছি। এই হজ ক্যাম্প এবং বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের সঙ্গে বিমানবন্দরের যোগাযোগটা আন্ডারপাস দিয়েই হবে। খুব সহজে আপনারা পৌঁছে যেতে পারবেন। মালপত্রও নিয়ে যাওয়া যাবে, সে ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। পায়ে হেঁটে যাওয়ার দরকার হবে না, তার জন্য আমরা বিশেষ ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। এখানে সোজা স্কেলেটর থাকবে, গলফ কার্টের মতো ব্যাটারিচালিত গাড়ি থাকবে।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমাদের কোনো বিমান ছিল না। আমি আসার পর নিজস্ব বিমানও ক্রয় করেছি। আগে দুই-তিনটা ঝরঝরে ছিল, খুবই খারাপ অবস্থা কিন্তু এখন আমি একেবারে আধুনিক বিমান কিনে দিয়েছি। কারণ সৌদির বিমান আমাদের হজযাত্রীদের নেন, পাশাপাশি আমরা আমাদের নিজস্ব বিমানে পাঠাতে পারি, আগে তো ভাড়া করে আনতে হতো! এখন আর খুব বেশি লাগে না। আমরা নিজেদের বিমানেই করতে পারি। সে ব্যবস্থাটাও আমরা করতে পেরেছি।’

হজযাত্রীদের বাংলাদেশ ও সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়া করার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা দেখছেন যে প্যালেস্টাইনে কী হচ্ছে। যেভাবে সেখানে গণহত্যা চালানো হচ্ছে। ওখানে নারী-পুরুষ, ছোট শিশুদেরও রেহাই দেওয়া হচ্ছে না। যেখানেই আমি কথা বলছি, আমার কণ্ঠ সোচ্চার—আমি প্রতিটি জায়গায় এর প্রতিবাদ করে যাচ্ছি। প্যালেস্টাইন আরব ভূখণ্ডে, তাদের জায়গা তারা পাবে। এটা তাদের অধিকার। এই অধিকার কেউ কেড়ে নিতে পারে না। কাজেই সেই অধিকার তাদের দিতে হবে। আজকে যদি আমাদের সকল মুসলিম কান্ট্রিগুলো (দেশ) এক হয়ে একযোগে কাজ করতে পারতো, তাহলে আরও আমরা এ ব্যাপারে অনেক অগ্রগামী হতে পারতাম। ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আমি একাই একমাত্র বোন। আমি বলছি, আমি একমাত্র বোন আছি, কাজেই আমার এটাই কথা সকলে এক হোন এবং এই ধরনের অন্যায়-অবিচার যেন আমাদের ওপর না হয় সেদিকে যাওয়ার জন্য সকলে সোচ্চার থাকবেন।’


প্রথম দুই ঘণ্টায় ১০ শতাংশ ভোট: ইসি

নির্বাচন কমিশন ভবন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম দফার ভোটগ্রহণে প্রথম দুই ঘণ্টায় ১০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মনিটরিং সেল। আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানা যায়।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দেশের ৫৯ জেলার ১৩৯টি উপজেলায় সকাল সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

ইসির দেওয়া তথ্যমতে, উপজেলায় এ পর্বে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন দুই কোটি ৮০ লাখের বেশি মানুষ। প্রায় সব উপজেলায় মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ১৩৯টি উপজেলা পরিষদে প্রতিটি উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রায় ১৬০০ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলার মধ্যে ২২টিতে ইভিএম এবং বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোট হচ্ছে। এ ধাপে মোট এক হাজার ৬৩৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬২৫ এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন। প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৮, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ করে অর্থাৎ মোট ২৮ প্রার্থী এরই মধ্যে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।

বিষয়:

ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ৮০ কি.মি. বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকাসহ দেশের আরও ১২টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ বুধবার সকালে নদীবন্দরের সতর্কবার্তায় সংস্থাটি এমন তথ্য জানায়।

সতর্ক বার্তায় বলা হয়, বরিশাল, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে দমকা ও ঝড়োহাওয়া সহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে দুই নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, নোয়াখালী, কুমিল্লা, ঢাকা, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা ও ঝড়োহাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকায় এক নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।


রবীন্দ্রনাথের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী আজ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৮ মে, ২০২৪ ০০:০২
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাঙালির আত্মিক মুক্তি ও সার্বিক স্বনির্ভরতার প্রতীক, বাংলাভাষা ও সাহিত্যের উৎকর্ষের নায়ক, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখের এই দিনে জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঘর আলো করে জন্মগ্রহণ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ।

তার লেখা ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ গানটি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত। এ দেশের মুক্তিযুদ্ধে তার কবিতা ও গান ছিল সীমাহীন প্রেরণা উৎস্য।

বিশ্বকবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রবীন্দ্রনাথ ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। কবির গান-কবিতা এই অঞ্চলের মানুষের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তির ক্ষেত্রে প্রভূত সাহস জোগায়।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধেই শুধু নয়, আমাদের প্রতিটি সংগ্রামে চিরকালই কবির রচনাসমূহ প্রাণের সঞ্চার করে।

নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আজ নোবেল বিজয়ী এই বাঙালি কবিকে স্মরণ করবে তার অগণিত ভক্ত। শুধু দুই বাংলার বাঙালিই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাংলা ভাষাভাষীরা কবির জন্মবার্ষিকীর দিবসটি পালন করবে হৃদয় উৎসারিত আবেগ ও পরম শ্রদ্ধায়।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় পর্যায়ে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে বিশ্বকবির স্মৃতিবিজড়িত নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার পতিসরে, কুষ্টিয়ার শিলাইদহ কুঠিবাড়ি, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর এবং খুলনার দক্ষিণডিহি ও পিঠাভোগে স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন করা হবে। এ উপলক্ষে রবীন্দ্রমেলা, রবীন্দ্রবিষয়ক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

কবিগুরুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বেলা ১১টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বিশ্বকবির ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করবেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে ছায়ানটের রবীন্দ্র-উৎসব ২৫ ও ২৬ বৈশাখ (৮ ও ৯ মে) ছায়ানট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন অনুষ্ঠান আরম্ভ হবে সন্ধ্যা ৭টায়।

দুই দিনব্যাপী এই উৎসবে পরিবেশিত হবে একক ও সম্মেলক গান, নৃত্য, পাঠ-আবৃত্তি। অনুষ্ঠানে ছায়ানটের শিল্পী ছাড়াও আমন্ত্রিত শিল্পী ও দল অংশ নেবে। ছায়ানট মিলনায়তনে আয়োজিত এই উৎসব সবার জন্য উন্মুক্ত।


বাংলা ও বাঙালির বাতিঘর

আপডেটেড ৮ মে, ২০২৪ ০০:৪৬
 সৈয়দ আফজাল হোসেন

বাংলা সাহিত্যের প্রবাদপুরুষ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিস্ময়কর প্রতিভার জাদুকরী স্পর্শে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য পূর্ণতা পেয়েছে এবং সমৃদ্ধ ও আলোকিত এবং বিকশিত হয়েছে। সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে তিনি বাংলা ভাষা ও বাঙালি জাতিকে বিশ্বপরিমণ্ডলে মর্যাদার সঙ্গে তুলে ধরেছেন।

তার মূল পরিচয় কবি হলেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মূলত বাংলা সাহিত্যের প্রাণস্পন্দন। সাহিত্যের সকল শাখায় রয়েছে তার সফল বিচরণ। তিনি একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, গল্পকার, নাট্যকার, চিত্রকর এবং সংগীত ও সুরস্রষ্টা। তিনিই বাংলা সাহিত্যে ছোটগল্পের প্রবর্তক।

বাংলা ভাষার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বোদ্ধারা ‘গুরুদেব’, ‘কবিগুরু’ ও ‘বিশ্বকবি’ অভিধায় অভিহিত করে থাকেন। কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার ‘সঞ্চিতা’ কাব্যগ্রন্থ উৎসর্গকালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ‘বিশ্বকবিসম্রাট’ বলে সম্বোধন করেছেন।

রবীন্দ্র সাহিত্যের অন্যতম প্রধান উপকরণ হচ্ছে জীবন ও জীবনবোধ, প্রকৃতি ও সৌন্দর্য, মনুষ্যত্ব ও মানবমুক্তি, প্রেম-ভালোবাসা এবং একেশ্বরবাদের বন্দনা করা। পাশাপাশি সমাজের নানা অসমতা, হীনতা-দৈন্যতা ও দুর্দশার কথাও তিনি তার সুতীক্ষ্ণ লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরার প্রয়াস পেয়েছেন। গভীর অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে তিনি এসবের মধ্যে থেকে সত্যকে আবিষ্কার করে পাঠকের মনোজগতে প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছেন। আর নিজে হয়ে উঠেছেন কবি-সাহিত্যিক থেকে দার্শনিক।

গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য ১৯১৩ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। সমগ্র এশিয়া মহাদেশের মধ্যে তিনিই প্রথম এই পুরস্কার প্রাপ্তির গৌরব অর্জন করেন। পরবর্তীতে ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত করে। কিন্তু ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি ‘নাইটহুড’ বর্জন করেন। নাইটহুড প্রত্যাখ্যানপত্রে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমার এই প্রতিবাদ আমার আতঙ্কিত দেশবাসীর মৌনযন্ত্রণার অভিব্যক্তি।’ এর মাধ্যমেই তার দেশপ্রেম ও মানবপ্রেমের পরিচয় পাওয়া যায়।

বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় রবীন্দ্রনাথের গান-কবিতা বাঙালির মনে সাহস ও শক্তি জোগায় এবং প্রাণের সঞ্চার করে। তার লেখা ‘আমার সোনার বাংলা’ বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত। অর্থাৎ বাঙালির চিন্তায়, মননে, কল্পনায়, চেতনায় ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছেন তিনি।

প্রকৃতিপ্রেমী রবীন্দ্রনাথের উপলব্ধির গভীরতায় ও ভাষার সহজাত ভঙিমায় শিল্পিত রূপ পেয়েছে বাংলার অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।

রাবীন্দ্রনাথ তার দার্শনিক উপলব্ধির দ্বারা প্রায় শতবছর আগে সমাজের যে চিত্র তুলে ধরেছেন তা আজও বিদ্যমান। তিনি লিখেছেন, ‘ডিমোক্রাসি আজ যেখানে সেখানে যত টুকরো অ্যারিস্টোক্রেসির পুজো বসিয়েছে - খুদে খুদে অ্যারিস্টক্রাটে পৃথিবী ছেয়ে গেল, কেউ পলিটিক্সে, কেউ সাহিত্যে, কেউ সমাজে। তাদের কারো গাম্ভীর্য নেই, কেননা তাদের নিজের পরে বিশ্বাস নেই।’

রবীন্দ্রনাথের ধর্মদর্শন মানবিকতার জয়গানে মুখর। ধর্মের নামে হানাহানি-মারামারি কবিমনকে ব্যথিত করত। ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধে তার অবস্থান ছিল স্পষ্ট। তাই ধর্মান্ধতা সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘ধর্মের বেশে মোহ এসে যারে ধরে/ অন্ধ সে জন, মারে আর শুধু মরে’।

ন্যায়-অন্যায় বোধ সম্পর্কে তিনি মানুষকে সচেতন করা এবং তাদের নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত করার চেষ্টা করেছেন। এখানে তার বিখ্যাত দুটি লাইন প্রণিধানযোগ্য: ‘অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তব ঘৃণা তারে যেন তৃণসম দহে।’ পাশাপাশি মানুষের সীমাহীন চাহিদার কথা এভাবে বর্ণনা করেছেন: ‘এ জগতে, হায়, সেই বেশি চায় আছে যার ভূরি ভূরি- রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি।’

‘শেষের কবিতা’ উপন্যাসে শিলং পাহাড়ের রোমান্টিক পরিবেশে অমিত-লাবণ্যের প্রেমকে অনবদ্যভাবে ফুটিয়ে তোলেন। ভালোবাসার শব্দটির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ‘ভালোবাসার ট্র্যাজেডি ঘটে সেখানেই যেখানে পরস্পরকে স্বতন্ত্র যেনে মানুষ সন্তুষ্ট থাকতে পারেনি- নিজের ইচ্ছেকে অন্যের ইচ্ছে করবার জন্যে যেখানে জুলুম- যেখানে মনে করি আপন মনের মতো করে বদলিয়ে অন্যকে সৃষ্টি করবো।’

জমিদারের সন্তান হয়েও জমিদারির দম্ভ, অহমিকা তাকে স্পর্শ করেনি। এক মহান প্রজাদরদি জমিদার ছিলেন কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। মানুষের দুঃখ-দুর্দশা নিয়ে তিনি গভীরভাবে ভাবতেন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পত্র-প্রবন্ধ সংকলন ‘রাশিয়ার চিঠি’ বইয়ে তিনি লিখেছেন, ‘এবারে রাশিয়া ঘুরে এসে সেই সৌন্দর্যের ছবি আমার মন থেকে মুছে গেছে। কেবলই ভাবছি আমাদের দেশ-জোড়া চাষীদের দুঃখের কথা। আমার যৌবনের আরম্ভকাল থেকেই বাংলাদেশের পল্লীগ্রামের সঙ্গে আমার নিকট-পরিচয় হয়েছে। তখন চাষীদের সঙ্গে আমার প্রত্যহ ছিল দেখাশোনা- ওদের সব নালিশ উঠেছে আমার কানে। আমি জানি, ওদের মতো নিঃসহায় জীব অল্পই আছে, ওরা সমাজের যে তলায় তলিয়ে সেখানে জ্ঞানের আলো অল্পই পৌঁছায়, প্রাণের হাওয়া বয় না বললেই হয়।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘চাষীকে আত্মশক্তিতে দৃঢ় করে তুলতে হবে, এই ছিল আমার অভিপ্রায়। এ সম্বন্ধে দুটো কথা সর্বদাই আমার মনে আন্দোলিত হয়েছে- জমির স্বত্ব ন্যায়ত জমিদারের নয়, সে চাষীর; দ্বিতীয়ত, সমবায়নীতি-অনুসারে চাষের ক্ষেত্র একত্র করে চাষ না করতে পারলে কৃষির উন্নতি হতেই পারে না। মান্ধাতার আমলের হাল লাঙল নিয়ে আলবাঁধা টুকরো জমিতে ফসল ফলানো আর ফুটো কলসিতে জল আনা একই কথা।’

পরিশেষে বলতে হয়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর চিরকাল বাংলা ও বাঙালির বাতিঘর হয়ে থাকবেন।


সুন্দরবনের আগুন পুরোপুরি নিভেছে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সুন্দরবনের আগুন পুরোপুরি নিভে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দে। তিনি জানান, গত সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সুন্দরবন এলাকায় ব্যাপক বৃষ্টি হয়। এতে আগুন লাগার স্থানটি ভালোভাবে সিক্ত হয়। এর পরও আজ সকাল থেকে বনবিভাগ এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন লাগার স্থান ড্রোনের মাধ্যমে পুনরায় পর্যবেক্ষণ করা শুরু করেন। পর্যবেক্ষণে বনভূমিতে আগুনের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।

পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল এ কথা জানানো হয়েছে। ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল সকাল থেকে প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় ড্রোনের মাধ্যমে সুন্দরবনের আগুন লাগা অংশের বনভূমি পর্যবেক্ষণ করা হয়। তবে বনভূমির কোথাও আগুনের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি বনের অভ্যন্তরে পায়ে হেঁটে একাধিক টিম ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেও কোথাও কোনো আগুনের আলামত পাননি।

পরিদর্শনে দেখা যায়, আগুন লাগার স্থানগুলো বৃষ্টিপাতের ফলে যথেষ্ট পরিমাণে পানিতে ভিজে গেছে। কোথাও কোথাও পানি জমে রয়েছে। সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনায় সুন্দরবনের আমরবুনিয়া ক্যাম্পের আওতাধীন বনাঞ্চলের আগুন নিভে গেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে জীববৈচিত্র্যের ক্ষয়ক্ষতি যাচাইয়ের জন্য গঠিত কমিটির সভাপতি জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে বনজসম্পদ ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সুপারিশ প্রণয়নের কাজ অচিরেই শুরু করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ৪ মে বিকেলে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়ি-সংলগ্ন লতিফের ছিলা নামক এলাকায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিস ও বনরক্ষীরা ঘটনাস্থলে গেলেও সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় সেদিন আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতে পারেনি। ফলে রাতভর পুড়ে যায় বনেরও ওই অংশ। পরদিন ভোর থেকেই ফায়ার সার্ভিস ও বনরক্ষীদের সঙ্গে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, টুরিস্ট পুলিশসহ বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়। আগুন সেদিনই নিয়ন্ত্রণে আসে, তবে পাতার মধ্যে আগুন লাগায় তখনো ধোঁয়া বের হচ্ছিল।

পরদিন ভালোভাবে আগুন নেভানোর কাজ সম্পন্ন হলেও আরও দুদিন বন পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বনবিভাগ ও ফায়ার সার্ভিস। এই আগুনে কয়েক একর এলাকার বনভূমি পুড়ে গেছে বলে বনবিভাগ থেকে জানানো হয়েছে।


বিদ্যুৎ বোর্ডের কাছে পাওনা ৩৩ হাজার ১০৮ কোটি টাকা

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বাবিউবো) কাছে সরকারি, বেসরকারি, যৌথ উদ্যোগ, আমদানিসহ উৎপাদন কোম্পানি ও পিজিসিবির পাওনা সর্বমোট ৩৩ হাজার ১০৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। বিদ্যুৎ বিক্রয়ের বিপরীতে এই বকেয়া বিল পাওনা রয়েছে বলে সংসদকে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।

আজ মঙ্গলবার সংসদের বৈঠকে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, পিডিবির কাছে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ থেকে বিদ্যুৎ বিক্রয় বাবদ বিলের বিপরীতে ২৯ এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত সরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সঞ্চালন কোম্পানিগুলোর ১০ হাজার ৩৯১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। একই সময়ে বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানিসমূহের ১৫ হাজার ২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বকেয়া পাওনা রয়েছে।

তিনি জানান, একই সময়ে যৌথ উদ্যোগে স্থাপিত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোর পাওনা ২ হাজার ৪১৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। আদানিসহ ভারত হতে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য বিভিন্ন কোম্পানির পাওনা ৫ হাজার ২৯৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি সরকার কর্তৃক বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানিসমূহের ব্যাংকের নিকট দায় ১৭ হাজার ৫৫৩ কোটি টাকা ভর্তুকির বিপরীতে বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়েছে।

স্বতন্ত্র সদস্য আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগারের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের চাহিদার চেয়েও স্থাপিত উৎপাদন ক্ষমতা বেশি। সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে তাৎক্ষণিক, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে নিবিড় তদারকির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। জানুয়ারি ২০০৯ হতে বর্তমান সময় পর্যন্ত ২৬ হাজার ২৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। ফলে বিদ্যুতের স্থাপিত ক্ষমতা ক্যাপটিভসহ ৩০ হাজার ২৭৭ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। এ বছর ৩০ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে ১৬ হাজার ৪৭৭ মেগাওয়াট।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতায় ঘাটতি না থাকলেও কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তীতে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের কারণে পরিপূর্ণ সক্ষমতায় বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে কিছু কিছু স্থানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে। এ ছাড়া অত্যধিক গরম ও দেশের কোথাও কোথাও দাবদাহ থাকার কারণে বিদ্যুতের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন বৃদ্ধির ওপরও জোর দেওয়া হচ্ছে। অচিরেই সবাইকে নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দিতে সক্ষম হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।

আহমদ হোসেনের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ গভীর সমুদ্রে খনিজ সম্পদ আহরণে নিলাম আবেদনে গেছে। ইতোমধ্যে টেন্ডার হয়েছে। এক্সন মবিল, শেভরনসহ ১৭টি কোম্পানি আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তারা টুডি জরিপের ফলাফল নিয়েছে। বুধবার তাদের সঙ্গে ফ্রি বিড মিটিং আছে। বিডিং প্রসেস আগামী সেপ্টেম্বরে শেষ হবে। আগামী মাসের মাঝামাঝি সময়ে কোম্পানি নিয়োগ দেওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, তারা এসব জায়গায় থ্রিডি সার্ভে করবে, ড্রিল করবে। প্রায় ২০ থেকে ৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার পরে ৭-৮ বছর পর সেখানে যদি গ্যাস, তেল থাকে উত্তোলন করা যাবে।

সংরক্ষিত মহিলা এমপি ফরিদা ইয়াসমীন তাঁর প্রশ্নে শিল্পপ্রতিষ্ঠানে শিল্প মালিকরা নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন বলে জানান। একই সঙ্গে তিনি বাসা-বাড়িতে অপ্রতুল গ্যাস পাচ্ছে বলে জানান।

এমন প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, দেশে দৈনিক উৎপাদিত গ্যাসের পরিমাণ হলো ১ হাজার ৭০০ ঘনফুট। আমদানি করা হয় ১ হাজার ১০০ ঘনফুট গ্যাস। প্রায় ৩ হাজার ঘনফুট গ্যাস লাইনে দেওয়া যাচ্ছে। প্রয়োজন ৩৪০০-৩৫০০ ঘনফুট। এখানে ঘাটতি ৫০০ ঘনফুট।

তিনি বলেন, কোন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে গ্যাস পাচ্ছে না সেটা লিখিতভাবে জানান। কোন কোম্পানি গ্যাস পায় না এমন লিখিত অভিযোগ সরকারের কাছে আসেনি। সরকার চেষ্টা করছে সেখানে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস রাখার জন্য। বাসা-বাড়িতে গ্যাসের সমস্যা আছে। চাপের সমস্যা আছে। সে কারণে বিকল্প এলপিজি ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। বাসাবাড়িতে গ্যাসের সংযোগ দিচ্ছি না বা দেব না। সরকারের উদ্দেশ্য হলো পাইপলাইনের গ্যাস শিল্প ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করা হবে। এলপিজি বাসাবাড়ি, গাড়িতে ব্যবহারের পরিকল্পনা ভবিষ্যতে সরকারের রয়েছে।

বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ থাকলেও বৃহত্তর ময়মনসিংহে সমস্যা হচ্ছে। কারণ সেখানে গ্যাসের স্বল্পতা। জামালপুরের দুটি বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট বন্ধ আছে। একটি টাকার কারণে এলসি খোলা যাচ্ছে না। আরেকটি অন্য কারণে বন্ধ আছে বলে জানান তিনি।

২০২১-২২ অর্থবছরে পল্লী বিদ্যুতের লোকসান ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ

ফেনী-২ আসনের সরকারদলীয় এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০২১-২২ অর্থবছরে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের আওতাধীন ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোকসান ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ১৩ হাজার ২৯ টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আয় ৩১ হাজার ২৪৮ কোটি ১১ লাখ ৯১ হাজার ৪১৭ কোটি টাকা। ব্যয় হয়েছে ৩১ হাজার ৭৭১ কোটি ৯১ লাখ ৪ হাজার ৪৪৭ টাকা। আর ২০২০-২১ অর্থবছরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মুনাফা হয়েছিল ৫০ কেটি ১১ লাখ ৯৯ হাজার ৮৪৬ কোটি টাকা। এই সময়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আয় হয়েছিল ২৮ হাজার ৭১৫ কোটি ৩০ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৬ টাকা। আর ব্যয় হয়েছিল ২৮ হাজার ৬৬৫ কোটি ১৮ লাখ ৬৮ হাজার ৯৮৯ টাকা।

২০২১-২২ অর্থবছরের লোকসানের মূল কারণ হিসাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, খুচরা মূল্যহার পাইকারি মূল্যহারের চেয়ে কম হওয়া। ভবিষ্যতে মূল্য সমন্বয় হলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিসমূহ লোকসান থেকে মুক্ত হবে।

সরকারদলীয় এমপি আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে ৬৯টি অনুসন্ধান এবং উন্নয়ন কূপ খননের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৬টি কূপ খননের পরিকল্পনা রয়েছে।

সরকারদলীয় এমপি হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে কয়লাভিত্তিক ৪ হাজার ৮৫৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র বর্তমানে চালু আছে। প্রতিবেশী ভারত হতে ২ হাজার ৬৫৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। ৩ হাজার ৭০১ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে।


‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কার্যকর ভূমিকা রাখবে আইওএম’

বনানীর একটি হোটেলে মঙ্গলবার ‘ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন রিপোর্ট ২০২৪’ প্রকাশ অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) বিশ্ব অভিবাসন প্রতিবেদন ২০২৪ প্রকাশ করেছে। ২০০০ সাল থেকে দ্বিবার্ষিকভাবে প্রকাশ হয়ে আসা এই আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন এবারই প্রথম তাদের সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনেভার বাইরে বাংলাদেশের রাজধানীতে আয়োজিত হলো।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার বনানীতে একটি হোটেলে আইওএমের মহাপরিচালক এমি পোপ ‘ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন রিপোর্ট ২০২৪’ আন্তর্জাতিকভাবে প্রকাশ করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশ্ব অভিবাসন প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য বাংলাদেশকে নির্বাচন করায় আইওএমকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১৩ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজ দেশে দ্রুততম সময়ে প্রত্যাবাসন এক বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কক্সবাজারে তাদের আশ্রয় এলাকা মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান এবং জঙ্গিবাদের ‘ব্রিডিং গ্রাউন্ড’ হিসেবে ব্যবহার শুধু দেশেরই নয় আন্তর্জাতিক সংকটে রূপ নিচ্ছে।

ড. হাছান মাহমুদ এ সময় বাংলাদেশে আসা আইওএম মহাপরিচালককে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং এই সংকট নিরসনে বিশ্বের অন্যান্য দেশের পাশাপাশি আইওএম বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান ইউক্রেন যুদ্ধ ও গাজায় ইসরায়েলি হামলার কারণে উদ্বাস্তু হাজার হাজার মানুষের দুর্দশার কথা উল্লেখ করার পাশাপাশি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তন মানুষের বাস্তুচ্যুত হওয়ার কারণ হিসেবে যুক্ত হয়েছে, যা আমলে নেওয়া ও সমাধানের জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করা এখন সময়ের দাবি।

আইওএম মহাপরিচালক এমি পোপ প্রতিবেদনের তথ্য উল্লেখ করে বলেন, বিশ্বে ২৮ কোটিরও বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষের মধ্যে প্রায় ১২ কোটি ৭০ লাখ মানুষই যুদ্ধ-বিগ্রহ-সংঘাত ও নানা দুর্যোগের কারণে বাস্তুচ্যুত। এটি দুশ্চিন্তার বিষয়।

পাশাপাশি তিনি অভিবাসনের ফলে বিশ্ব অর্থনীতির ধ্বনাত্মক দিকের কথাও তুলে ধরেন। এমি পোপ বলেন, ২০০০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক রেমিট্যান্স বা প্রবাসীদের প্রেরিত আয় ১২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৬৫০ শতাংশ বেড়ে ৮৩১ বিলিয়ন হয়েছে। এই আয় বাংলাদেশসহ বহু দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির অন্যতম চালিকাশক্তি।

প্রতিবেদনের গুরুত্ব সম্পর্কে এমি পোপ বলেন, ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন রিপোর্টের প্রমাণ-ভিত্তিক তথ্য ও বিশ্লেষণগুলো মানুষের গমনাগমনের অন্তর্নিহিত রহস্য বুঝতে সাহায্য করে যা অনিশ্চিত বিশ্বে অবহিত সিদ্ধান্ত এবং কার্যকর নীতি প্রণয়নে অত্যন্ত জরুরি।

ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, মিশন প্রধান, কূটনীতিক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অভ ডেলিগেশন ও রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি এবং অস্ট্রেলিয়ার এক্টিং হাইকমিশনার নাদিয়া সিম্পসন এবং বাংলাদেশে আইওএম মিশন প্রধান আব্দুসসাত্তার ইসোয়েভ প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএমের মহাপরিচালকের বৈঠক

এর পরপরই প্রকাশনা অনুষ্ঠানস্থলে পৃথক কক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আইওএম মহাপরিচালক এমি পোপ। বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত করা ও বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি অভিবাসীদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আইওএমের কার্যকর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন তারা।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালযয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন, বাংলাদেশে আইওএম মিশনপ্রধান আব্দুসসাত্তার ইসোয়েভ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ ওই সময় উপস্থিত ছিলেন।


চাল, আমসহ অনেক ফসল উৎপাদনে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবদক

চাল, শাকসবজি, আমসহ অনেক ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় নেদারল্যান্ডসের ওয়াগেনিঙেন ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড রিসার্চ-এ ‘বাংলাদেশের কৃষির রূপান্তর ও ভবিষ্যৎ সহযোগিতা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গোলটেবিল আলোচনায় আব্দুস শহীদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের অব্যাহত কৃষিবান্ধব নীতির কল্যাণে ২০০৯ সাল থেকে কৃষি উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ প্রধান খাদ্যশস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখতে পেরেছে এবং কিছু শাকসবজি, ফলমূল ও মাছ উৎপাদনে বিশ্বে শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে, নেতৃত্ব দিচ্ছে। কৃষি খাতে বিশাল ভর্তুকি প্রদান, গবেষণার মাধ্যমে কৃষিতে উদ্ভাবন, আধুনিক প্রযুক্তির সম্প্রসারণ এবং যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে এই অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ ও টেকসই সরবরাহ ব্যবস্থা (সাপ্লাই চেইন) গড়ে তোলা এখন আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পর্যাপ্ত সংরক্ষণাগারের অভাব ও প্রক্রিয়াজাতকরণ বা ভ্যালু চেইন ব্যবস্থা শক্তিশালী না হওয়ায় ফসল তোলার পর অনেক অপচয় হচ্ছে। এতে কৃষকরা অনেক সময় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ক্ষেত্রে কৃষি খাত আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। বাংলাদেশের কৃষিকে রূপান্তরের মাধ্যমে টেকসই ও লাভজনক করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এ ক্ষেত্রে নেদারল্যান্ডসের কিছু যুগান্তকারী প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও গবেষণা বাংলাদেশে প্রবর্তন করা হবে।

কৃষি মন্ত্রণালয় এবং নেদারল্যান্ডসের বাংলাদেশ দূতাবাস কৃষি উন্নয়ন-সংশ্লিষ্ট বৈশ্বিক অংশীজন ও কৃষি ব্যবসায়ীদের কাছে বাংলাদেশের কৃষি খাতের সম্ভাবনা ও বিনিয়োগের সুযোগ তুলে ধরতে এ গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে। ওয়াগেনিঙেন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কানাডার সাস্কাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটি এতে সহযোগিতা করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা, কৃষি বিশেষজ্ঞ, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ও বেসরকারি খাতের ২০০-এর বেশি প্রতিনিধি এতে অংশ নেন।

আলোচনা সভায় বাংলাদেশের কৃষি খাতকে ঝুঁকিমুক্ত, টেকসই, লাভজনক এবং প্রান্তিক কৃষক ও উদ্যোক্তাদের জন্য টেকসই করতে সার্বিক সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দেন প্রধান বৈশ্বিক অংশীদাররা।

নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম. রিয়াজ হামিদুল্লাহ গোলটেবিল আলোচনা সঞ্চালনা করেন। কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার, ওয়াগেনিঙেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী বোর্ডের সদস্য রেন্স বোচওয়াল্ড, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কানাডার সাস্কাচুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট বালজিত সিং, কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. মাহমুদুর রহমান প্রমুখ এতে বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশের কৃষিতে ফসলের আরও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, টেকসই সরবরাহ ব্যবস্থা (সাপ্লাই চেইন) গড়ে তোলা এবং গবেষণায় দক্ষতার ঘাটতি পূরণ- এই চারটি বিষয়ের ওপর আলোচনা সভায় গুরুত্বারোপ করা হয়। আলোচনা শেষে ওয়াগেনিঙেন বিশ্ববিদ্যালয়, কানাডার সাস্কাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতার জন্য একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা হয়। যার মাধ্যমে বাংলাদেশের মাঠ পর্যায়ে পাইলট ভিত্তিতে কিছু উদ্যোগ বাস্তবায়িত হবে।


অংশীদারত্ব জোরদারে ঢাকায় যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রী

ছবি: ইউএনবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে ‘আধুনিক অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা ও অভিবাসন অংশীদারত্ব জোরদারের’ লক্ষ্যে যুক্তরাজ্যের ইন্দো-প্যাসিফিকবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ান আজ মঙ্গলবার দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রতিমন্ত্রীকে স্বাগত জানান উত্তর আমেরিকা এবং পশ্চিম ইউরোপ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সফরকালে ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শিক্ষামন্ত্রী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং অন্যান্য সরকারি কর্মসূচিতে অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশন এক ঘোষণায় জানিয়েছে, অভিবাসন, অর্থনৈতিক সংস্কার ও নিরাপত্তাসহ অগ্রাধিকার খাতগুলোতে যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশের সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে। ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয় বাংলাদেশ সফরে তিনি দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদারে যুক্তরাজ্যের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করবেন।

বৈঠকে যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ অভিবাসন সহযোগিতা, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাজ্যের সমর্থন নিয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ব্রিটিশ মন্ত্রী ব্যবসায়ী নেতা, মানবিক নেতা, জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন এবং নাগরিক সমাজের সংস্থা ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধির ভিত্তি হিসেবে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের গুরুত্বকে তুলে ধরবেন।


ফের বাড়ল হজ ভিসা আবেদনের সময়

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

হজযাত্রীদের ভিসার কাজ শেষ না হওয়ায় আবেদন করার সময় দ্বিতীয় দফা বাড়ানো হয়েছে। বর্ধিত সময় অনুযায়ী আগামী ১১ মে পর্যন্ত হাজিরা ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আজ মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন তসলিম।

তিনি জানান, সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় হাজিদের জন্য ভিসা আবেদনের সময় ১১ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে।

এদিকে, ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান জানিয়েছেন, সব হজযাত্রী সঠিক সময়ে সৌদি আরব যাবেন এবং সঠিক সময়ে ভিসা হবে।

গত ২৯ এপ্রিল ছিল হজ ভিসা আবেদনের শেষ সময়। কাঙ্ক্ষিত ভিসা আবেদন না হওয়ায় প্রথম দফায় ৭ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এই সময়ের মধ্যে সবাইকে ভিসার আবেদন করার জন্য অনুরোধ করা হলেও দ্বিতীয় দফায় ফের সময় বাড়ানো হয়। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। ২০২৪ সালের হজে বাংলাদেশ থেকে ৮৩ হাজারের বেশি হাজি হজ পালন করবেন।

আগামী বৃহস্পতিবার থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হবে। আর আজ বুধবার হজ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সচিবালয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান জানিয়েছেন, সব হজযাত্রী সঠিক সময়ে সৌদি আরব যাবেন এবং সঠিক সময়ে ভিসা হবে।

মন্ত্রী বলেন, ভিসা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই ইনশাল্লাহ। এটা যে যেভাবে বলুক, আমাদের ফ্লাইট যখন যেটা চালু হচ্ছে, আমাদের হজযাত্রীরা টিকিট নিচ্ছেন, ভিসা নিচ্ছেন, কোনো সমস্যা নেই।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা নিশ্চিত থাকুন, এতে কোনো সমস্যা হবে না। আমরা নির্দ্বিধায় এটা চালিয়ে নিতে পারব, সে সুযোগ আমাদের আছে।

তিনি বলেন, আমরা কোনো সমস্যা অনুভব করছি না। আমরা সঠিক সময় আমাদের সব কাজই করতে পারব ইনশাল্লাহ। এতে কোনো সন্দেহ নেই।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, হজযাত্রী নেওয়ার দায়িত্ব সৌদি আরব সরকারের। ভিসা দেওয়ার দায়িত্বও তাদের। তারা যদি হজযাত্রী না নিতে পারে ব্যর্থতা তাদের। তবে আমি এটুকু বলতে পারি আমাদের পক্ষ থেকে এবং সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে সব হজযাত্রী সঠিক সময়ে যাবে, সঠিক সময়ে ভিসা হবে ইনশাল্লাহ।

চলতি বছর ৮৩ হাজার হজযাত্রীকে বহন করার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স (সৌদিয়া) ও সৌদির বেসরকারি এয়ারলাইন্স ফ্লাইনাস মোট ২২৮ হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে। সে অনুযায়ী শিডিউল ঘোষণা করেছে এয়ারলাইন্সগুলো। চুক্তি অনুযায়ী, মোট হজযাত্রীর অর্ধেক বহন করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বাকি অর্ধেক বহন করে সৌদিয়া ও ফ্লাইনাস এয়ার।

চুক্তি অনুযায়ী, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স মোট ১১৮টি ফ্লাইটে ৪৮ হাজার ৮৩৫ জন হজযাত্রী বহন করবে। সৌদি এয়ারলাইন্স এবং ফ্লাইনাস এয়ার বাকি হজযাত্রী বহন করবে।


কোনো শিশু অবহেলিত থাকবে না: ডেপুটি স্পিকার

ছবি:সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বলেছেন, প্রতিটি শিশুকে উন্নত নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে এবং সব ক্ষেত্রে তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমান সরকারের সময়ে কোনো শিশুই অবহেলিত থাকবে না।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনের পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবে অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট (এএসডি) আয়োজিত ‘গৃহকাজে নিয়োজিত শিশুর অধিকার ও সুরক্ষায় সুনির্দিষ্ট আইনের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সংলাপে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য মো. রশীদুজ্জামান, রুমা চক্রবর্তী, লায়লা পারভীন, অণিমা মুক্তি গোমেজ এবং আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী প্রমুখ।

শিশু সুরক্ষায় আইনের প্রয়োজনীয়তা প্রসঙ্গে ডেপুটি স্পিকার বলেন, শিশু সুরক্ষায় আইনের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও শুধু আইনের মাধ্যমে সুরক্ষা দেওয়া কঠিন। গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুর মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নে তাদের গৃহকর্তার সন্তানের মতো বিবেচনা করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশে গৃহকর্মী নিয়োগে বিধিমালা তৈরি করতে হবে। প্রতিটি শিশুর প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে মাধ্যমিক শিক্ষাও বাধ্যতামূলক করতে হবে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার শিশু সুরক্ষা, প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ও নারীদের অধিকার বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সরকার অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে বহুমুখী পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা ও আগামীর উন্নত বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে কর্মক্ষম মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলস কাজ করছে সরকার।

সংলাপে মূল প্রবন্ধ উত্থাপন করেন শিশু বিশেষজ্ঞ শরফুদ্দিন খান। এএসডির কর্মসূচি পরিচালক হামিদুর রহমানের সঞ্চালনায় শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মীর মোহাম্মদ আলী, শাপলা নীড়ের কান্ট্রি ডিরেক্টর তমকো উচিয়ামা, ইউনিসেফ প্রতিনিধি ফাতেমা খাইরুন্নাহার, ওয়ার্ল্ড ভিশনের ন্যাশনাল অ্যাডভোকেসি অফিসার জামাল উদ্দিন, স্ক্যান সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মুকুল, লেবার ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মিতু খাতুন এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তাহেফা সামিন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বিষয়:

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পরে ১৬০ দেশের মানুষ: জাহাঙ্গীর কবির নানক

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ‘বাংলাদেশে অর্থনৈতিক মুক্তি এসেছে পোশাকশিল্পের হাত ধরে। বিশ্বের প্রায় ১৬০টি দেশের মানুষ মেইড ইন বাংলাদেশের পোশাক পরিধান করে। বাংলাদেশ আজকে বিশ্বের অন্যতম দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশই নয়, নিরাপদ পোশাক প্রস্তুতকারী দেশও। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সবুজ পোশাক কারখানা আমাদের দেশে।’

আজ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) হল-৪ এ আয়োজিত ১৬তম বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো শুধু বাংলাদেশ নয়- সারা বিশ্বের ডেনিম মেলাগুলোর মধ্যে প্রশংসনীয় আয়োজন এটি। এবারের ডেনিম এক্সপোতে ১৩টি দেশ থেকে ৬০টির বেশি কোম্পানি অংশগ্রহণ করেছে। যা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। পোশাকশিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। এ দেশের রপ্তানি আয়ের ৮৪ শতাংশ আসে এই শিল্প থেকে। প্রায় ৪০ লাখ কর্মী আছেন এই শিল্পে। যার ৬৫ শতাংশ নারী। এ দেশের ২ কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত। এ দেশে এই শিল্পের অবদান প্রায় ১১ শতাংশ। গত বছর এ দেশে পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি।’

বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, ‘আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত পোশাক ক্রেতাদের আমি অনুরোধ করব, পোশাক প্রস্তুতকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে ডেসটিনেশন হিসেবে নেবেন। পোশাকের যথাযথ মূল্য আপনারা দেবেন। আফ্রিকার কোন নন কমপ্লায়েন দেশের পোশাকের তুলনায় এ দেশে পোশাকের মূল্য একটু বেশি হবে, হওয়াটাই স্বাভাবিক।’

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘আমাদের পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা অত্যন্ত চৌকস। তারা প্রত্যেকটা চ্যালেঞ্জ অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এই পোশাকশিল্পকে তারা আরও এগিয়ে নিয়ে গেছেন।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুরেন, বিজিএমইএর সাবেক প্রেসিডেন্ট সিদ্দিকুর রহমান, বর্তমান প্রেসিডেন্ট এস এম মান্নান কচি, এইচএন্ডএমের বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ইথিওপীয়র আঞ্চলিক প্রধান জিয়াউর রহমান প্রমুখ।


banner close